প্রয়োজন ছাড়া প্রসূতির সিজারিয়ান কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালার আলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন নিবারণে গাইডলাইন তৈরির ছয় মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া এ সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে বলেছেন আদালত।
হাইকোর্টে জমা দেয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা রায়ে যুক্ত করেছে আদালত, এর ফলে এটি আইন হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেনো অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে প্রসবকালীন অস্ত্রোপচারের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ। এতে বাবা-মায়েদের সন্তান জন্মদানে ব্যাপক পরিমাণে ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। এ ধরনের অস্ত্রোপচারে সন্তান জন্মদানে নানা ঝুঁকিও রয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় প্রসবকালীন অস্ত্রোপচার ঠেকাতে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের উপর নজরদারির যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, রিট আবেদনে সে বিষয়েও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
স্বাআলো/এস