নাশতকার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় বিএনপি ও তার অংঙ্গ সংগঠনের ৬৩ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
তদন্ত শেষে আদালতে কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনছারুল হক এই চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা হলো, যশোরের একরামুল কবির সুমন, রবিউল ইসলাম রবি, হুমায়ুন কবির, আনোয়ার হোসেন মিঠুন, রিয়াজ উদ্দিন, আব্দুল গফুর, আতিয়ার রহমান, একরাম আলী, রাজু আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন লাল্টু, তরিকুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, মধু, মশিয়ার রহমান, তোতা মিয়া, কবির হোসেন, ওমর আলী বিশ্বাস, মাইদুর রহমান, চাঁন মিয়া, আজাদ হোসেন কুজো, রফিকুল ইসলাম রফিক, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ খাঁ, সেলিম হোসেন, আব্দুল মান্নান, আব্দুল জলিল, তুহিন হোসেন, সেলিম হোসেন, শহর আলী, ইকবাল হোসেন, সফিয়ার রহমান, কাশেম আলী, হারুন অর রশীদ, আমিনুর রহমান, বাপ্পী হোসেন, কামাল হোসেন, মুকুল হোসেন, রেজাউল ইসলাম, সুমন হোসেন, শফিক, নাসিম রেজা পলাশ, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রব কান্দাস, নুর মোহাম্মদ, আব্দুর রহিম, ফারুক হোসেন, হাবিবুর রহমান, নাজমুল হুদা, ইব্রাহিম হোসেন, সাকিব রায়হান, জাহিদুল ইসলাম, গোলাম হাসান সানি, রাশেদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, আজিবর রহমান, রাসেল হোসেন, আশিক হোসেন, মনিরুল ইসলাম, ইমামুল হাসান নান্নু মিয়া, হাসান আলী ও এসএম মোস্তাফিজুর রহমান কবির প্রমুখ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি কোতোয়ালী থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদরের মুন্সি বেলায়েত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান চালায়। এ সময় ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশ দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া করে আটজনকে আটক করে। এ সময় আটক ব্যক্তিদের কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে পাঁচটি ককটেল বোমা, লোহার পাইপ-রড ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে আটক আটজনসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো অনেকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন এসআই সেকেন্দার আবু জাফর। তদন্ত কালে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আটক ও তাদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৬৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
চার্জশিটে অভিযুক্ত ইকবাল, সেলিম হোসেন, মুকুল মোল্যা, সুমন ও শফিককে পলাতক দেখানো হয়েছে।
স্বাআলো/এস