রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে আদালতে মামলা বিচারাধীন অবস্থায় হারাগাছ চতুরা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার নামীয় তফসিলভুক্ত জমিতে জোরপূর্বক দোকান ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল মমিন বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের জামতলায় এ ঘটনা ঘটে।
এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী জমি দখল ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগ ও প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ চতুরা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার নিজ নামীয় নাজিরদহ মৌজার জেএল নং-৬, সাবেক খতিয়ান নং-২০১৮, হাল খতিয়ান নং-৮৫৪৪, হাল দাগ নং-৬৩৫৪ ও ৭৭৭২ তফসিলভুক্ত ১২ শতক জমি ভোগ দখল করে আসছেন। হঠাৎ করে ২০১৫ সালের ২২ মে স্থানীয় নাজিরদহ ও ঠাকুরদাস এলাকার টেপেল মিয়া, আব্দুল গফুর, আনোয়ার হোসেন, রতন মিয়া ও হারাগাছ জামতলা এলাকার আব্দুস সালাম মিয়া, হাজী আব্দুস সালেক, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল বারীসহ কয়েকজন মাদরাসার নামীয় জমিটি নিজেদের বলে দাবি করেন। পরে তারা জোরপূর্বক দখল ও দোকানসহ স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মমিনসহ কমিটির লোকজন এবং অন্যান্য শিক্ষক ও এলাকাবাসী বাঁধা দেয়। স্থানীয়ভাবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মীমাংসা করার জন্য তাদের কাগজপত্রসহ ডাকলে তারা উপস্থিত হয়নি। এবিষয়ে বিগত ২০১৫ সালের ৭ জুনে কাউনিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে আব্দুল গফুর, টেপেল, সালাম, আনোয়ার আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তারা মাদরাসার ১২ শতক জমি নিজেদের বলে দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে মাদরাসার পক্ষে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মমিন বাদী হয়ে জেলা কাউনিয়া সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি স্থানীয় আব্দুস সালাম মিয়া, হাজী আব্দুস সালেক, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল বারীসহ কয়েকজনের মদদে আবারো মাদরাসার জমি দখলপূর্বক দোকানসহ স্থাপনা নির্মাণ করছেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বাঁধা দিলেও তারা কোনো কর্ণপাত করছেন না। এনিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে হারাগাছ চতুরা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মমিন বলেন, মাদরাসার জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে জোরপূর্বক জমি দখলসহ দোকান ও স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। কমিটির লোকজন, অভিভাবক ও স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও তারা শুনছেন না। তাই অবিলম্বে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিষয়টি কাউনিয়া থানা ও আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্বাআলো/এস
