লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তে ভারত থেকে গরুপাচারে ব্যবহৃত চর্কার আঘাতে আহত বাংলাদেশী রাখাল আবুল হোসেনের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে।
আবুল হোসেন উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তার মরদেহ বাড়ি নেয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চারদিন আগে আবুল হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজন রাখাল ও গরু ব্যবসায়ী সীমান্তে যান।
সেখানে চর্কার মাধ্যমে ভারতীয় গরু কাঁটাতারের বেড়া পার করাচ্ছিলেন আবুল হোসেনসহ একদল পাচারকারী। এসময় চর্কার বাঁশ মাথায় পড়লে গুরুতর আহত হন রাখাল আবুল হোসেন। পরে সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে গোপনে রংপুরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। এরপর তার মরদেহ বাড়িতে নিলে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সীমান্তের একটি সূত্রমতে, আবুল হোসেন স্থানীয় একজন ইউপি সদস্যের গরুপাচার করতে সীমান্তে গিয়েছিলেন। গরুর মালিক ইউপি সদস্য কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, সীমান্তে কি না জানি না, তবে চর্কা জাতীয় কোনো বাঁশের আঘাতে তিনি আহত হয়ে পরে মারা গেছেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের পরিবার থেকে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করা হচ্ছে। ভারত থেকে পাচার করা গরু সীমান্তের উঁচু কাঁটাতার পার করতে পাচারকারীরা বাঁশ দিয়ে বানানো এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করে থাকেন। স্থানীয়ভাবে এ যন্ত্রকে চর্কা বলা হয়।
স্বাআলো/এসএ