চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পোল বাগুন্দা গ্রামের স্ত্রী ডালিমা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী ফন্টু মন্ডলের (৫২) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার এ আদেশ দেন।
আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে মামলার একমাত্র আসামি ফন্টু মন্ডলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন জানান, চলতি বছরের ১৫ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে মামলার একমাত্র আসামি ফন্টু মন্ডল তার স্ত্রী ডালিমা খাতুনকে (৪০) বাড়ির কাছের মাঠে পেয়াজের ক্ষেত দেখতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়।
তারপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রী ডালিমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে লাশ মাঠে থাকা সোলার বিদ্যুতের পাইপের মধ্যে ফেলে দেয়। স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করার পর স্বামী ফন্টু মন্ডল প্রচার করে তার স্ত্রী আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছে।
পরদিন ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় সন্দেহবশত পুলিশ ফন্টু মন্ডলকে আটক এবং জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামি তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পোলবাগুন্দা গ্রামের একটি সোলার প্যানেলের পাইপের মধ্যে থেকে স্ত্রী ডালিমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ফন্টু মন্ডলকে আসামি করে তার ছেলে জামিরুল ইসলাম (২৫) ১৭ মার্চ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় আসামি ফন্টু মন্ডল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেন।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই আশিকুল হক এ মামলায় ৫ মে তারিখে চার্জশিট প্রদান করেন।
মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষীকে পরীক্ষা করা হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দার মামলার একমাত্র আসামি ফন্টু মন্ডলকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বাআলো/এস