যশোরে সোনা ও ফেনসিডিল চোরাচালানের পৃথক দুইটি মামলার দুই আসামিকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৬ নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম ও জুয়েল অধিকারী এ আদেশ দিয়েছেন।
যশোরে মাসুদ হত্যা মামলার আসামি আলামিন রিমান্ডে
সাজাপ্রাপ্তরা হলো, বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত জাহাবক্সের ছেলে ফারুক হোসেন ও তালসারি পাটবাড়ি গ্রামের মকবুল হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া রফিকুল ইসলাম শেখের ছেলে ড্রাইভার ইলিয়াস শেখ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বেনাপোলের পুটখালি ক্যাম্পের বিজিবি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বালুরমাঠ খেজুরবাগানে অভিযান চালিয়ে ফারুক হোসেনকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৯টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন সাড়ে ৯৪ তোলা। এ ঘটনায় বিজিবির ল্যান্স নায়েক আনোয়ারুল হক চোরাচালান দমন আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আসামি ফারুক হোসেনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে, ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর গভীর রাতে বেনাপোলের কাগজপুকুরের হক ফিলিং স্টেশনের সামনে অভিযান চালায় যশোরের র্যাব। এসময় যাত্রীবিহীন একটি বাস থামানোর সাথে একজন জানালা দিয়ে পালিয়ে যায় এবং চালক ইলিয়াস শেখকে আটক করা হয়। লোকজনের উপিস্থিতিতে বাস তল্লাশি করে ল্যাগেজ বক্সের ভিতর বিশেষ কায়দার তৈরি বক্স থেকে ১ হাজার ১৭১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের এসআই বায়েজিদ আকন বাদী হয়ে মাদক চোরাচালান দমন আইনে আটক বাস চালকসহ দুইজনের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে আটক ইলিয়াস শেখকে অভিযুক্ত ও অপর আসামি জাহাাঙ্গীর হোসেনের অব্যহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল আলম। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি ইলিয়াস শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
স্বাআলো/এসএ