ড. ইউনূসের গোমর ফাঁস করেছিলেন বিএনপির অর্থমন্ত্রী

ঢাকা অফিস: বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূসের কৌশলী অবস্থান বেশ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের আচরণ, বিদেশিদের কাছে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের নানাবিধ কৌশলী অবস্থান ও জিয়াউর রহমানসহ পরবর্তী কয়েকটি সরকারের সময়ও তিনি যে সুবিধাগুলো নিয়েও উল্লেখ করেন না সেসব নিয়ে কথা বলে গেছেন। তার আত্মজীবনীতে স্পষ্টভাবে এসবের উল্লেখ পাওয়া যায়।

তিনি লিখেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহণকারীদের ওপর যদি গবেষণা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে, গ্রামের অনেক ঋণ গ্রহণকারী একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। তারা তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এ ধরনের অনেক ঘটনার কথা মাঝে মাঝে পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং এ বিষয়ে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটিতেও প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে। ড. ইউনূস বলেছেন যে, গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ আদায়ের জন্য মামলা-মকদ্দমা করতে হয় না। একথা ঠিক। কারণ এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে রাতারাতি তারা সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু ব্যাংক তা পারে না। অনাদায়ী ঋণ আদায় করতে ব্যাংককে মামলা করতে হয়, নিষ্পত্তির জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়।

ড. ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার পাননি: শিক্ষামন্ত্রী

ড. ইউনূসের মাইক্রো ক্রেডিটের ফলে বাংলাদেশের দলিলে আর্থিক অবস্থার বিরাট পরিবর্তন হয়ে গেছে, এ কথাটা সর্বাংশে সত্য নয় উল্লেখ করে তিনি তার বইতে লিখেছেন, পরিবর্তন অনেকের কাছেই দৃশ্যমান নয়। দুই হাজার বা পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়ে এবং শতকরা ২৮ ভাগ পর্যন্ত বা তারও বেশি সুদ দিয়ে কোনো লোকের পক্ষে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব নয়। একটা নির্দিষ্ট সময় বা স্তর পর্যন্ত সমাজে মাইক্রোক্রেডিট একটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। সামান্য টাকা ধার নিয়ে কেউ ধানকে চাউল করে বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয় করে, অথবা অন্যভাবে কেউ বাড়তি আয় করে। এ কাজের মধ্য দিয়ে সামগ্রিকভাবে দারিদ্র বিমোচন সম্ভব নয়। এ ধরনের কর্মসূচি সরকার বহু আগেই নিয়েছিলো।

গ্রামীণ ব্যাংকের শুরুর ইতিহাস টেনে তিনি লিখেছেন, সরকার গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে তিন বছর চালিয়েছিলো। এই গ্রামীণ ব্যাংক ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা প্রজেক্ট এবং ড. ইউনুস ছিলেন ওই প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক। পরে তিনি চেয়ারম্যান হন ১৯৮৩ সালে। পূর্বে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন পদাধিকার বলে অর্থসচিব। এছাড়া ছিলো বোর্ড অব ডাইরেক্টরস। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রোজেক্ট হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক কাজ শুরু করে ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলে।

গ্রামীণ টেলিকম ভবন তালাবদ্ধ, ঢুকতে পারছেন না ড. ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর নানাভাবে নিজের জন্য কিছু অর্জন করতে চেয়েছেন উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, উনি ভীষণ রকমের ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষী মানুষ এবং ভীষণ কৌশলী বটে। ফলে মিথ্যেটাও কীভাবে সত্যর মতো শোনাবে সেইটা তিনি বেশ ভালো করে রপ্ত করেছেন। এবং সাধারণ মানুষ তার কথা শুনে বিভ্রান্ত হওয়ার বহু নজির আছে।

স্বাআলো/এস

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

শেরেবাংলার মমত্ববোধ নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলার গরিব-দুখী মানুষের...

বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা অফিস: ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে...

বিয়ে না দেয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করলো ছেলে

বিয়ে না দেয়ায় চাঁদপুরে মা রানু বেগমকে গলা কেটে...

যশোরসহ ২৬ জেলার ওপর দিয়ে তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে

ঢাকা অফিস: যশোরসহ দেশের ২৬টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে...