ফেনীতে মধ্যরাতে ঘরে আগুন লেগে ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ গেলো দুই ভাইয়ের। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের মধ্যম বিরিঞ্চি ফকিরবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুদের নাম মাইদুল ইসলাম শাহাদাত (১৩) ও রাহাদুল ইসলাম গোলাপ (০৬)। তারা ওই এলাকার পঁচি ফকির বাড়ির মুহাম্মদ রনির ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।
শাহাদাত সপ্তম আর গোলাপ দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিলো। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি।
নিহতের স্বজনদের দাবি, ঘুমের ঘরে প্রতিপক্ষের লোকজন ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে তাদের হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ২টার দিকে হঠাৎ রনির ঘর থেকে চিৎকার শোনা যায়। তাৎক্ষণিক তারা বের হয়ে দেখেন ওই ঘরে দাউদাউ করে আগুন জলছে। প্রথমে স্থানীয়রা ও পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে ঘরের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রনির ছেলে শাহাদাত ও গোলাপকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিলে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাতকে মৃত ঘোষণা করে এবং গোলাপকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে ঢাকায় যাওয়ার পথে গোলাপের মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশিরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় রনির ঘরের দরজার বাহিরে ছিটকানি রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিলো। যার কারণে আগুন দেখেও তারা বের হতে পারেনি।
নিহতের বাবা মোহাম্মদ রনি বলেন, কিছুদিন আগে একটি লাশ দাফন নিয়ে প্রতিবেশি জনি ও আনোয়ারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার। ওই ঘটনার পর থেকে তারা নানাভাবে আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। তারাই আমাদের ঘরে আগুন দিয়েছে। তারাই আমার দুই ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি বিচার চাই।
ওসি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দুই শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা তদন্তের পর জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এসএস