চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে অসাধুপায় অবলম্বন করায় এক ছাত্রের খাতা নিয়ে নেয়ায় ছাত্র কর্তৃক শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে নড়াইলের শিক্ষক সমাজ। অভিযুক্ত ওই ছাত্রকে স্কুল থেকে দ্রুত বহিষ্কারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও শিক্ষকদের সুরক্ষার দাবিতে গত দুইদিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় শিক্ষক সমাজের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এ ঘটনার বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি নড়াইল জেলা শাখার আয়োজনে আদালত সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নড়াইল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী, বাংলাদেশ সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এস.এম.এ জলিল ও নড়াইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গা ভিজে স্কুলের নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে শাফিউল আমিন শীর্ষ নামে এক ছাত্র অসাধুপায় অবলম্বন করলে খাতা কেড়ে নেন শিক্ষক হাফিজুর রহমান। এতে ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে চড়-থাপ্পড় মরেন ছাত্র শাফিউল আমিন শীর্ষ। জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষককে এভাবে লাঞ্ছিতের ঘটনা চরম ন্যাক্কারজনক। বিভিন্ন সময়ে অভিভাবকদের হাতেও শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হতে হয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষক সুরক্ষা আইনের প্রয়োজন। অন্যথায় শিক্ষক সমাজ কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। বক্তারা অবিলম্বে ওই ছাত্রকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বাদী হয়ে শিক্ষার্থী শাফিউল আমিন শীর্ষর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
এরপর বিবাদী শাফিউল আমিন শীর্ষ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের পর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
স্বাআলো/এসএস