জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেও জমা দিতে পারেননি জাহাঙ্গীর আলম। জমা দেয়ার নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট পর আসেন জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারায় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে চত্বরে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন।
জাহাঙ্গীর আলম দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দুধপাতিলা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ও পল্লী প্রাণী চিকিৎসক।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দামুহুদায় ৫ কাটা জমি বিক্রি করি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকায়। আর দুই জায়গায় জমি লিজ (বন্ধক) রেখে আরো ২ লাখ টাকা নিই নির্বাচন করার জন্য। ২৩ নভেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করি। এরপর ৫ হাজার ভোটারের স্বাক্ষর নেয়ার কাজ শেষ করি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গায় রয়েছি নির্বাচনের সকল কাগজপত্র প্রস্তুত করার জন্য। কিন্তু আইনজীবীর কাছে দেরি হয়ে যায়। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত সময় বিকাল ৪টা হলেও আমি বিলম্বে আসি। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা আমার মনোনয়নপত্র আর জমা নেননি।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন এলাকায় কাজ করছি সাধারণ ভোটারদের সাথে। জমি বিক্রি করে ভোটের প্রস্তুতি ভালোভাবেই নিচ্ছিলাম। কিন্তু আমার ইচ্ছা আজ পূরণ হলোনা। স্বপ্ন থেকে গেলো।
এরপর তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, নির্ধারিত সময়ের পর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় নেয়া সম্ভব হয়নি। আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
স্বাআলো/এসএ