বেতনের দুই লাখ টাকা ও জামানতের ব্যাংক চেকের পাতা ফেরৎ না দেয়ায় তালুকদার লাইট কাস্টিং কোম্পানির পরিচালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের মফিজুর রহমান এই মামলাটি করেছেন।
বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশ যশোরকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, যশোর শহরের এমএম আলী রোডের স্বস্তি কুঠিরের নুর ইসলাম তালুকদারের ছেলে এবং তালুকদা লাইট কাস্টিংয়ের পরিচালক জান্নাতুল নাইম, কোম্পানির হিসাবরক্ষক ও নাজির শংকরপুরের মাঠপাড়ার মৃত আব্দুল হকের ছেলে হোসেনুজ্জামান ও মার্কেটিং ম্যানেজার মশিয়ার রহমান।
বাদী মামলায় জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর যশোর-মণিরামপুর মহাসড়কের কানাইতলায় তালুকদার লাইট কাস্টিং কোম্পানির পণ্য বাজারজাত করার কাজে যোগদান করেন মফিজুর রহমান। যোগদানের পর থেকেই নিয়োগপত্র পাওয়ার জন্য আসামিদের বলে আসছিলেন। কিন্তু তাকে নিয়োগপত্র না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এরই মধ্যে বাদীর কাছ থেকে তারা একটি অলিখিত ব্যাংক চেকের পাতা জামানত স্বরুপ নিয়ে নেয়। এছাড়া বাদীর বেতন ও টিএডিএসহ পাওনা এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হলে তারা দিতে অস্বীকার করে। এক পর্যায় তারা তিনজন আসামি শলাপরামর্শ করে মফিজুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করে। গত ২১ সেপ্টেম্বর আসামিদের কাছে বেতনের পাওনা টাকা ও ব্যাংক চেকের পাতা ফেরৎ চেয়ে না পেয়ে আদালতে এই মামলাটি করেছেন।
স্বাআলো/এসএ