ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘাতের মধ্যে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামের এক যুবদল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের মধ্যে ফেসবুক লাইভে এসে ওই যুবদল কর্মীর ‘উসকানিমূলক’ বিভিন্ন বক্তব্য ভাইরাল হয়েছিলো।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে নগরীর শুলকবহর এলাকা থেকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানিয়েছেন।
গ্রেফতার রাশেদ আলমের (২৬) বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর শেরশাহ এলাকায়।
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তারা পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ইটের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে তাকে উপর্যুপরি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়।
জানা গেছে, সংঘর্ষের মধ্যে ফেসবুকে লাইভে আসেন রাশেদ আলম। এ সময় তাকে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজসহ ‘উসকানিমূলক’ বিভিন্ন কথাবার্তা বলতে শোনা যায়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, রাশেদ যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী। ঢাকায় মহাসমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলাসহ সংঘর্ষে সে সরাসরি জড়িত ছিলো। ফেসবুক লাইভেও সে বিভিন্ন আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলেছে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, পরিকল্পিতভাবে হামলা করে পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার নির্দেশনা তাদের বিভিন্ন পর্যায় থেকে দেয়া হয়েছিলো।
এদিকে কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েক হাজার আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় রাশেদকে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
স্বাআলো/এসএ