নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশ দামে গ্যাস কিনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডার। এ সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। গত মাসে এ সিলিন্ডারের দাম ছিলো এক হাজার ২৮৪ টাকা।
দাম বাড়লেও নির্ধারিত দামে মিলছে না গ্যাস। এক হাজার ৩৬৩ টাকার গ্যাস কিনতে হচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকায়। বেশি দামে কেনায় চরম ভোগান্তিতে ক্রেতারা।
আইন-নিয়মের মধ্যেই সোমবার সন্ধ্যা থেকে আগের দামের সঙ্গে ৭৯ টাকা যুক্ত হলো। প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১১৩ দশমিক ৬১ টাকা। কিন্তু দাম নিয়ে গ্রাহক অভিজ্ঞতা ভিন্ন।
তারা বলছেন, এক বছরের বেশি সময় ধরেই তারা নির্ধারিত সময়ে এলপিজি কিনতে পারছেন না। বিক্রেতাকে ৫০-৬০ টাকার মতো বেশি দিতে হতো। তিন মাস ধরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে এ গ্যাস। মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পর খুচরা দোকানদাররা এলপিজির দাম আরো বাড়িয়ে বিক্রি করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডার। তবে গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন, এ দাম এক হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। অনেক সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বাড়ানো হয়। এ গ্যাস না থাকলে বাসায় রান্না করা যায় না। কেনো না অন্য বিকল্পগুলো আরো ব্যয়সাপেক্ষ। তাই এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। এমনকি টাকা পরিশোধের রশিদ চাইলেও দিতে চায় না বিক্রেতারা।
বিইআরসির চেয়ারম্যান নূরুল আমিন বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের মূল্যায়ন ও দাবি বিবেচনায় নিয়েই এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু খুচরা বাজারে মূল্যহার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের নৈতিক সমস্যা রয়েছে। বিইআরসি এবং জেলা প্রশাসন নির্ধারিত দামে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি নিশ্চিত করতে এখন অভিযান চালাচ্ছে।
জ্বালানি বিভাগ জানায়, দেশে ২০০৯ সালে এলপিজির বার্ষিক চাহিদা ছিলো প্রায় ৬৬ হাজার টনের মতো। বর্তমানে চাহিদা ১৪ লাখ টনের বেশি। পাইপলাইন গ্যাস-সংযোগ অনেক বছর ধরে বন্ধ থাকায় এ চাহিদা ক্রমে বাড়ছে।
স্বাআলো/এস