যশোরের চৌগাছায় বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ এবং দাখিল, আলিম ও কামিল মাদরাসার প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানা। ১০ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভা হয়। মতবিনিময়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১১ অক্টোবর থেকে উপজেলার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন রাখতে বা ব্যবহার করতে পারবে না। আগামী এক মাসের মধ্যে উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি স্থাপনসহ বেশ কয়েকটি কল্যাণধর্মী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ে একটি অপরিহার্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী। কিন্তু হাল আমলে মোবাইলের অপব্যবহার দারুণভাবে হচ্ছে। আজকাল প্রাথমিকের নিচের শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে মোবাইল দেখা যায়। এই মোবাইলটা নিশ্চয় শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক কিনে দিয়েছেন। আজকাল স্কুল-কলেজের পথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মোবাইলে ফেসবুক ব্যবহার করতে দেখা যায়। তারা পথ দিয়ে যাচ্ছে নাকি বেপথে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল থাকে না। আর এই বেপথে চলতে চলতে একদিন সে জীবনের বেপথে ধাবিত হয় এবং হচ্ছেও।
চৌগাছা উপজেলা পরিষদ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন রাখতে বা ব্যবহার করতে পারবে না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। শিক্ষার্থীদের মঙ্গলময় ভবিষ্যতের জন্য এটি বাস্তবায়নে সবার আগে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা আসতে হবে। আর এমন একটি সিদ্ধান্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যকর হোক এ কামনা সবার।
প্রযুক্তি অগ্রগতির বাহন। এই প্রযুক্তিকে সঠিক কাজে লাগাতে হবে। অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে তাদের সন্তানদের হাতে মোবাইল দেবার বিষয়ে। স্কুল কলেজে যাবার সময় কেনো তারা মোবাইল নিয়ে যাবে, এটা প্রত্যেক অভিভাবককে অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে। এমনো দুঃখজনক খবর কানে আসে যে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে মোবাইল নিয়ে গেলে শিক্ষকরা ক্লাস টাইমের জন্য মোবাইলটা নিয়ে নিলে এক শ্রেণির অভিভাবক নাকি মারমুখি হয়ে স্কুলে চড়াও হয়। এটা কত বড় সর্বনাশের আলামত তা কেউ বুঝতে পরছে কিনা আল্লাহই মালুম।
প্রযুক্তির এই অপপ্রয়োগ বন্ধে সময় ক্ষেপণ না করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার পথ বের করতেই হবে।