বাগেরহাটের কচুয়ায় রাজিব শেখ (১৯) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার গিমটাকাঠি গ্রামের আয়না বেগমের ঘরের সামনের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, রবিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার সকালের মধ্যে যেকোনো এক সময় যুবকটি আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, রাজিব শেখ কচুয়া উপজেলার গিমটাকাঠি গ্রামের আয়না বেগমের মেয়ে রুমি আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। রবিবার দুপুর ২টার দিকে যুবকটি প্রেমিকা রুমির সাথে দেখা করতে কচুয়া আসে। এ সময় রুমি আক্তারের পরিবারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ সূত্র ধরেই ঐ যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে রুমির পরিবার থেকে বলা হয়।
একটি সূত্র জানায়, রবিবার রুমি খাতুনের সাথে রাজিব দেখা করতে আসলে আসেপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে রাজিবকে মারধর করে এলাকা থেকে বের করে দেয়। সোমাবার সকালে রুমির বসতঘরের সামনে গাছের ডালের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানার নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রুমি খাতুন বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ছেলেটির সাথে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে কয়েক মাস আগে জানতে পারি তার মাথায় একটি টিউমার আছে, তাই পরবর্তীতে তার সাথে সম্পর্ক করতে অস্বীকার করি। এরপর থেকেই সে আমাকে নানাভাবে বিরক্ত করে আসছিলো। হটাৎ সোমবার সকালে ছেলেটি আমার ঘরের সামনে কেনো আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
নিহতের চাচা আসাদুজ্জামান শেখ বলেন, মেয়েটির সাথে আমার ভাতিজার অনেকদিন থেকে সম্পর্ক ছিলো। যতদূর জানি মেয়েটি আমাদের গ্রামের বাড়িতেও যাতায়াত করতো। শুনেছি রবিবার ওখানে আমার ভাতিজাকে মারধর করা হয়েছে। তাই আমাদের সন্দেহ ছেলেটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই সজিব শেখ বলেন, আমার ভাইকে গত দুইদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছিলো না এবং মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে শুনি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমরা ধারণা করছি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আমি আমার ভাইয়ের হত্যার সঠিক বিচার চাই।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসীন হোসেন বলেন, আমরা ছেলেটির আত্মহত্যার কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করি, পরে সুরাতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি। নিহত যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট শেষে এ ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে নিহত যুবকটির বাবা কচুয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।
স্বাআলো/এসএস