যশোরে এক তরুণীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ভুক্তভোগী তরুণী আদালতে এই মামলাটি করেছেন।
বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
আসামি আহম্মদ হোসাইন বাবু যশোর শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার বাসিন্দা।
বাদী ঝিকরগাছার সার্কিট হাউজপাড়ার এক মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। তিনি মামলায় বলেছেন, বাদী একজন শিক্ষিতা তরুণী। বেকার থাকার কারণে বাবু তাকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরির প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায় রাজি হলে গত ২৫ আগস্ট ঢাকাতে নিয়ে যায়। সেখানে আত্মীয় স্বজনের বাসায় থেকে বাবুর সাথে বিভিন্ন জায়গা চাকরির সন্ধানের জন্য যায়। এরই মধ্যে বাবু তাকে বলছে কোনো বাসায় থেকে চাকরি খোঁজখবর নেয়া যাবেনা। এক পর্যায় তাকে নিয়ে ২৭ আগস্ট একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। সেখানেই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু রাজি না হওয়ায় ২৮ আগস্ট একজন ভুয়া কাজী ডেকে এনে কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে বলছে এখন আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। এখন আর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করতে কােনো সমস্যা নেই। এভাবে ঢাকা, যশোর ও আসামি বাবুর আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর বাদীকে ধর্ষণ করেছে। এরপরে ২৭ সেপ্টেম্বর বাদীকে যশোর সদরের আমবটতলা বাজারে নিয়ে দাড় করিয়ে রেখে ইজিবাইক ভাড়া করার কথা বলে পালিয়ে চলে যায় আসামি বাবু। ২৯ সেপ্টেম্বর বাদীর বাড়িতে বাবুকে ডেকে নিয়ে তাকে বিয়ের কথা বলা হলে বাবু অস্বীকার করে করে। এই বিষয় লোকজনকে জানানো হলে বাদীকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়েছে। এই স্থানীয় থানায় গেলে কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছে। ফলে সোমবার আদালতে এই মামলা করা হয়েছে।
স্বাআলো/এসএ