বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ডিমওয়ালা মা ইলিশ নিধনের অভিযোগে দুই জেলেকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের আলাউদ্দিন (৭০) ও মহিষাপোতা গ্রামের দুলাল উদ্দিন হাওলাদার (৬০)।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ নিধন, ২ জেলে কারাগারে
এ দিকে বাগেরহাটে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান, ৪০ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান এ অভিযান সফল করতে স্থানীয়প্র শাসনসহ মৎস্য বিভাগ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাতে জেলেরা নদীতে নামতে না পারে সেজন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ইলিশের বিচরণ বা প্রজনন কেন্দ্র থেকে যারা দূরে অবস্থান করেন তারা ভাবেন এখন এই মাছ ধরা হচ্ছে না। সরকারিভাবে যেভাবে প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছে তাতে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক। মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হওয়ায় কর্মহীন জেলেদের সরকারি সহায়তাও দেয়া হয়। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মানানো যাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের মধ্যে অনেককে আটক করা হয়েছে। জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। চুরি করে ধরা মাছও জব্দ করা হয়েছে। তবু থেমে নেই জেলেরা।
বাগেরহাটে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান, ৪০ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
আমরা যতোদূর জানি ইলিশ রক্ষায় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। শুধু গত কয়েকদিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। তবুও একশ্রেণির লোভী এবং অসাধু জেলে প্রতি বছরই প্রজনন মৌসুমে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাটকা শিকার করে। কিন্তু কেনো মা ইলিশ ধরা বন্ধ হচ্ছে না এ নিয়ে স্বাভবিক কারণেই একটা ভাবনার সৃষ্টি করে। আসল কথা হলো জাতীয় জীবনের সবক্ষেত্রে যেনো আইন অমান্য করার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে আইন অমান্যের এই বিষয়টি ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ। যে যার অবস্থান থেকে ব্যক্তি স্বার্থে আইন অমান্য করছে। এটি সংগঠিত পর্যায়ের কোনো বিষয় না।
আমরা মনে করি বোধ বা উপলব্ধির অভাবে মানুষ আইন অমান্য করে। দেশাত্মবোধ সজাগ হলে কেউ দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিরোধী পথে পা বাড়াতে পারে না। একজনের একটি ক্ষুদ্র অপরাধ যখন সমষ্টি রূপ নেয় তখন সেটা দেশের একটি বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যারা গোপনে মা ইলিশশিকার করছে তারা হয়তো জানেই না যে সেটি একটি অপরাধ। তাদের ধারণা পরিশ্রম করে নদীর মাছ ধরবে সেটা অপরাধ হবে কেনো। একইভাবে বিভিন্ন সময় চোরাচালানীদের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, তারা বলে নগদ টাকা দিয়েতো পণ্য কিনে থাকে। কোনো অবস্থাতেই তারা চুরি করে কোনো পণ্য দেশে আনে না অথবা চুরি করে কোনো পণ্য বিদেশে নেয় না। এই মালামাল পারাপার করেতে তাদের যথেষ্ট পরিশ্রমও হয়। তাহলে এটা অধৈ হবে কেনো। এ সব অসচেতন মানুষকে বোঝাতে হবে কেনো তাদের এ কাজ অপরাধ। এ জন্য জনসচেতনামূলক তৎপরতার বিকল্প নেই। আইন ভঙ্গকারী এসব মানুষের মাঝে যাতে উপলব্ধি সৃষ্টি হয় কোনো কাজটি খারাপ এবং সেটি কেনো অপরাধ। তাদের উপলব্ধি সৃষ্টি না হলে আইন করে তাদের অপরাধ থেকে বিরত করা যাবে না।
স্বাআলো/এস