পটুয়াখালীর গলাচিপায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে চলছে ২৯টি পূজামন্ডপে সাজ-সজ্জার কাজ। সকল মন্দিরগুলোতে প্রতিমার গায়ে উঠেছে রং। মন্দির প্রাঙ্গণে পুরোদমে চালছে বিভিন্ন রংয়ের আলোকসজ্জার কাজ।
গলাচিপা পৌর শহরের চারটি এবং উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২৫টি মন্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। এ বছর আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও আনসারবাহিনীর সদস্যরা মন্দির কমিটির সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে। ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে টানা পাঁচদিন চলবে এ পূজা।
বিভিন্ন মন্দিরে ৩/৪ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকের বাদ্যে মেতে উঠবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দুষ্টের বিনাশ ও সৃষ্টের পালন করতে বছর ঘুরে আবারো ‘মা দুর্গা’ এসেছেন।
এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রতিটি পূজামন্ডপে থাকবে পুলিশের নজরদারিসহ সিসি ক্যামেরা। প্রতিমা তৈরির কারিগর প্রশান্ত সাহা জানান, প্রতিমার গায়ে রংয়ের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি ঠিক সময় শেষ করতে পারবো।
পৌর শহরের কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দিরের সভাপতি দিলীপ বণিক বলেন, পূজার প্রস্তুতি প্রায়ই শেষের পথে। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে এবারো শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সমিত কুমার দত্ত মলয় জানান, ইতোমেধ্যে জেলা প্রশাসন ও পূজা কমিটির সভা হয়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ মন্ডপের দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, প্রতিটা মন্ডপে পূজা চলাকালীন আনসার সদস্য ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি পুলিশের টহল টিম মাঠে কাজ করবে। এছাড়া প্রতিটি মন্ডপই সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। আশা করছি শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দুর্গাপূজা শেষ হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
স্বাআলো/এস