যশোরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে এক গ্রাম্য ডাক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। ২০ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার ডহেরপাড়া গ্রামের এই ঘটনার পরে ২৪ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ওই ডাক্তারের বাড়ি একই গ্রামে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ মামলায় জানিয়েছেন, আসামি গ্রাম্য ডাক্তার সম্পর্কে তার দেবর। ফুফু শাশুড়ির ছেলে। বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা নেয়ায় এবং আত্মীয় হওয়ায় প্রায়ই তার বাড়িতে গিয়ে ওষুধপত্র দিয়ে যান। তিনি অসুস্থ হওয়ায় ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য বাড়িতে যায়। ২০ অক্টোবর ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওষুধ দিতে গিয়ে কেউ না থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হলে ধর্ষণ করে। এসময় গৃহবধূ চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ডাক্তার পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার চার দিন আগে যশোরের ঝিকরগাছার এক তরুণীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ করে ১৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তরুণী যশোর আদালতে মামলা করেছেন। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আদেশ দিয়েছেন।
সরকার ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন পাস করে প্রশংসিত হয়েছে। এমন একটি কঠোর আইন দেশে জরুরি ছিলো। কারণ আমরা যেনো আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। গৃহবধূ থেকে স্কুলের ছাত্রী ও শিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের হররোজের যে চিত্র তা তুলে ধরা সম্ভব নয়।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কি। এসব ঘটনায় প্রমাণ হয় আমাদের সমাজ অসুস্থ হয়ে গেছে। এটা সভ্য সমাজের লক্ষণ নয়। আমাদের সমাজের কোনো একটা জায়গায় রোগ হয়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে গেছি আমরা সবাই। ভুক্তভোগীদের মর্মযাতনা উপলব্ধি করে এর বিরুদ্ধে আরো কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে চিন্তা সমাজবিজ্ঞানী, সরকার, রাজনীতিক সমাজসেবী সবাইকে ভাবতে হবে।
এভাবে কোনো সভ্য সমাজ চলতে পারে না। অব্যাহত এ অপরাধের কারণে একদিন দেখা যাবে এ জাতি অসভ্য জাতির কলঙ্ক তিলক ললাটে উঠেছে।
স্বাআলো/এস