যশোরে চাঞ্চল্যকর রাজীব হোসেন কাজী (৩৪) হত্যা মামলার আরেক আসামি খায়রুজ্জামান শিহাবকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আটক শিহাব লোহাগড়ার লষ্করচর গ্রামের আবুল হাসানের ছেলে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পিবিআই।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সরকার পাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই জানিয়েছে, ২০২২ সালে ৩০ মে পুরাতন কসবা নিরিবিলি পাড়ার বজলুর রহমানের ভবন নির্মাণের সময় মাটি খুুঁড়ে একটি নীল রংয়ের ড্রাম পাওয়া যায়। ওই ড্রামের ভেতর থেকে মানুষের কংকাল উদ্ধার হয়। এরপর থেকে পুলিশ ওই কংকাল কার তা প্রমাণে তৎপর হয়। পিবিআই জানতে পারে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার চান্দালি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেন কাজী এক সময় পুরাতন কসবা এলাকায় কাজ করতেন। যেখানে কংকাল পাওয়া যায় সেখানে ছিলো ওই এলাকার সেখ সজিবুর রহমানের অফিস। রাজিব হোসেন কাজী ব্যবসায়ী সজিবুর রহমানের অফিস ও বাসায় কাজ করতেন। রাজিব হোসেন ২০১৬ সালে ২৯ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার পিতা ফারুক হোসেনকে ফোন দিয়ে জানান, তিনি বাড়িতে আসছেন। এরপর থেকে তিনি বাড়িতে ফেরেননি। তাকে না পেয়ে তার বাবা-মা যশোরে আসেন। কিন্তু কোনো খোঁজ না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যান। দীর্ঘদিন পর যখন পুরাতন কসবা এলাকায় মানুষের কংকাল উদ্ধারের সংবাদ পান সে সময় তারা ফের যশোরে আসেন এবং পুলিশের কাছে ওই কংকাল তার ছেলের বলে দাবি করেন। পরে পুলিশের সহায়তায় ওই কংকালের ডিএনএ টেষ্ট করারো হয়। টেস্টে ওই কংকাল ফারুক হোসেন ও মাবিয়া বেগমের সন্তান বলে প্রমাণিত হয়। এরপর পিবিআই শেখ সজিবুর রহামান, হুমায়ুন কবির খান বাবু ও সাইফুল হক লিটনকে আটক করে। তারা আদালতে জবানবন্দি দেয়। ওই জবানবন্দিতে খায়রুজ্জামান শিহাবের নাম আসে। এরপর তাকে আটক করা হয়।
এর আগে আরো দুইজনকে আটক করে পিবিআই। তারা হলেন, শহরের পুরাতন কসবা নিরিবিলি পাড়ার রবিউল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া গোলাম জয়নাল হাওলাদার ও লিচুতলার রাজা বাদশার বাড়ির ভাড়াটিয়া ইব্রাহিম মোল্লা।
স্বাআলো/এসএ