হ্যাটট্রিক পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে মাঠে নেমেছে টাইগাররা।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান তুলে প্রোটিয়ারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৪ রান করেছেন ডি কক। হেনরিক ক্লাসেন ৪৯ বলে ২ চার ও ৮ ছক্কায় ৯০ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার হাসান মাহমুদ।
প্রোটিয়াদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রেজা হেনড্রিকস ও কুইন্টন ডি কক। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে জীবন পান রেজা হেনড্রিকস। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে বোল্ড হন এ ব্যাটার। এর আগে করেন ১২ রান।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন। তবে উইকেটে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৩৬ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে মাত্র ১ রান করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিতে থাকেন ডি কক ও এইডেন মার্করাম।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে খেলতে থাকা ডি কক ৪৭ বলে নিজের অর্ধশত রান তুলে নেন। অপরদিকে ডি ককের পর এইডেন মার্করামও ওয়ানডেতে নবম অর্ধশতক তুলে নেন। এই দুইজনের ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথ দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ফিফটির কিছু পরই ফেরেন এ ব্যাটার। দলীয় ১৬৭ রানে মার্করাম আউট হলে ভাঙে ১৩১ রানের এই জুটি। সাকিবের বলে আউট হয়ে সাজঘরের যাবার আগে ৬৯ বলে ৬০ রান করেন তিনি।
মার্করাম বিদায় নিলেও বাংলাদেশের বোলার ওপর তাণ্ডব চালিয়ে চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে হেনরিখ ক্লাসেন ও ডি ককের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে প্রোটিয়ারা। সাকিব-হাসানদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ট অর্ধশতক তুলে নেন ক্লাসেন। তবে দলীয় ৩০৯ রানে ডি কক আউট হলে ভাঙে ১৪২ রানে বিধ্বংসী এই জুটি। সাজঘরে যাওয়ার আগে ১৪০ বলে ১৭৪ রান করেন তিনি।
ডি কক আউট হলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে টাইগার বোলারদের ওপর চড়া হতে থাকেন ক্লাসেন।
শেষ পর্যন্ত ক্লাসেনের ৯০ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানের সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ ও সাকিব আল হাসান।
স্বাআলো/এসএস