নোয়াখালীর চাটখিলে ফাতেমা মরিয়ম অর্পিতা নামে এক কিশোরী গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) উপজেলার নোয়াখোলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রাম থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফাতেমা মরিয়ম অর্পিতা চাটখিল পৌরসভার শাহনেয়ামতপুর এলাকার বেলাল হোসেনের কন্যা ও সিংবাহুড়া গ্রামের ইতালি প্রবাসী রবিউল ইসলাম রুবেলের স্ত্রী।
অর্পিতার বাবা-মা এবং স্বজনরা দাবি করেছেন অর্পিতাকে (১৭) হত্যা করেছে তার শ্বাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন। নিহতের শরীরে বিভিন্ন নির্যাতনের চিহ্ন পেয়েছেন দাবি করেছেন তারা। তবে অর্পিতার শ্বশুরের পরিবার অর্পিতা রাত ৩টার দিকে বাথরুমে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করছে।
কাতারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নোয়াখালীর লিটনের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অর্পিতার সাথে রুবেলের গোপনে বিয়ে হয় পরিবারের সম্মতিতে। গোপনে বিয়ে হওয়ার কারণ হিসেবে জানা যায়, দুই পরিবার তাদের আনুষ্ঠানিক বিয়ে দেয়ার সময় অভিযোগের ভিত্তিতে চাটখিল উপজেলা প্রশাসন বাল্যবিয়ের অপরাধে বিয়েটি ভেঙে দেয় এবং অর্পিতা পরিবারকে জরিমানা করে। পরে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে গোপনে বিয়ের আয়োজন করে। বিয়ের পর থেকেই শ্বাশুড়ির নানা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলো কিশোরী গৃহবধূ অর্পিতা।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। প্রাথমিকভাবে শরীরের কোথাও নির্যাতনের চিহৃ পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
স্বাআলো/এস