অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২৮ জনে। এর মধ্যে দুই হাজার ৯১৩ জন শিশু, এক হাজার ৭০৯ জন নারী ও ৩৯৭ জন বয়স্ক নাগরিক আছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গত ৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে শতাধিক ফিলিস্তিনি মারা গেছে। গ্রেপ্তার হয়েছে এক হাজার ৪৫০ জনেরও বেশি।
বন্ধ হচ্ছে হাসপাতাল, পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রধান প্রসিক্টর লুইস মোরেনো-ওকাম্পো বলেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
তিনি বলেন, একটি গণহত্যা সংঘটিত করার একটি রূপ হলো তাদের ধ্বংস করার জন্য জনগণের ওপর শর্ত চাপানো। আর (ইসরায়েলি) অবরোধ আসলে তাই।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রধান এ প্রসিক্টর বলেন, (ইসরায়েলি) অবরোধ পানি ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। গাজার ফিলিস্তিনি হাসপাতালগুলো তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না। যেসব অসুস্থ ফিলিস্তিনিরা কোথাও যেতে পারে না তাদের জন্যও বিদ্যুৎ নেই।
জ্বালানি সংকট: গাজার হাসপাতালে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা জেনারেটর চলবে
লুইস মোরেনো-ওকাম্পো বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু, তারা ২০ লাখ মানুষকে আটকাতে পারে না বা অবরোধ দিতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, এসব ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের কারণে গাজা একটি বন্দী শিবিরে পরিণত হতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে গাজায় মানবিক সহায়তা পরিচালনাকারী জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
ইউএনআরডাব্লিউএ এর মুখপাত্র জুলিয়েট টুমা বলেন, তারা ধারনা করছেন যে তাদের কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা আশা করছি যে ইউএনআরডাব্লিউএ-এর জন্য যে জ্বালানি পাঠানো হয়েছে সেগুলো চলে আসবে।
সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি
স্বাআলো/এসএস