নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট: রমজানের শুরু থেকেই লালমনিরহাটের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজার। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলেও বাস্তবে তা সম্ভব হচ্ছে না।

লালমনিরহাটের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিত্যপণ্যের দাম রমজানের আগে থেকেই বাড়তি ছিলো। রমজান শুরুর পর ধাপে ধাপে আরো বেড়েছে। আর দাম বৃদ্ধিতে সিন্ডিকেটকে মূল কারণ হিসেবে দেখছেন ক্রেতারা। তবে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।

জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিলো ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে যে চাল বস্তাপ্রতি ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সে চাল বর্তমানে এক হাজার ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানে সেমাইয়ের চাহিদা বেশি থাকায় প্রকারভেদে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালি। মসুর ডাল প্রকারভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কেজিতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা বেড়ে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। এ ছাড়াও লবণের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা। পেঁয়াজের দাম কমে ৬০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হলেও মরিচের দাম বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারের বেঁধে দেয়া দামে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে না।

লালমনিরহাটে ১৯ জনের মনোনয়ন বৈধ, ৮ প্রার্থীর বাতিল

খেজুরের দাম কয়েক দফা বেড়ে ডাবাস খেজুর গত সপ্তাহেও তিন হাজার ৯০০ টাকা বিক্রি হলে বর্তমানে চার হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক হাজার ৬০০ টাকায় কেনা খেজুর দুই হাজার ৬০০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে।

কৃষির ওপর উত্তরের এ জেলার অর্থনীতি নির্ভর করে। জেলার বেশির ভাগ মানুষ নিম্ন মধ্যবিত্ত। দ্রব্যমূল্যের এমন দাম বৃদ্ধিতে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।

লালমনিরহাট সদরের বাসিন্দা গোলাম মাহমুদ বলেন, সামান্য চাকরি করে সংসার চালাই। রমজানে জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, ছেলে-মেয়েদের চাহিদামতো কেনাকাটা করা সম্ভব না। নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব জিনিস রয়েছে সবগুলোর দাম হাতের নাগালের বাইরে। কীভাবে সংসার চালাব তা নিয়ে মুশকিলে পড়ে গেছি। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া না হলে দেশের মানুষ আরো কষ্টে পড়বে।

কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজারে ফল ব্যবসায়ী জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, গত সপ্তাহে ডাবাস খেজুর তিন হাজার ৯০০ টাকায় কিনলেও এই সপ্তাহে চার হাজার ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। যার কারণে বাধ্য হয়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়াতে হচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর লালমনিরহাটের সহকারী পরিচালক মাসুম উদ দৌলা বলেন, আমরা রমজানের আগে সিন্ডিকেট, অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছি। কেউ যাতে মজুত করতে না পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

তিস্তা রেলসেতুতে নাট-বল্টুর পরিবর্তে গাছের শুকনো কাঠ

হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট: জেলা তিস্তা রেলসেতুর বেশিরভাগ জায়গায় নেই নাট-বল্টু।...

পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে...

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাচা-ভাতিজার জমজমাট লড়াই

হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট: সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে এবং মন্ত্রীর...

কালীগঞ্জে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে কাজ বন্ধ, বিক্ষোভ

হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট: জেলার কালীগঞ্জে আকিজ বিড়ি কোম্পানি হাজরানিয়া...