কেশবপুরে এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় তামান্না আক্তার তমা (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রী বসতঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ নভেম্বর উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামে। সে একই গ্রামের জাহিদ হাসান বাবুর মেয়ে।
নিহত তামান্না আক্তার তমা পাঁজিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলো।
থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাদারডাঙ্গা জাহিদ হাসান বাবুর মেয়ে তামান্না এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ায় পরিবারের লোকজনের অগোচরে বসতবাড়ির শয়নকক্ষের আড়ার সাথে নিজের ব্যবহৃত ওড়না গলায় পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তামান্নাকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আত্মহত্যা কোনোভাবেই ব্যক্তিগত নয়। পরীক্ষায় ফেল করে তামান্না নিজেকে অপরাধী করে মরলো। আত্মহত্যা অপরাধ বলে প্রচলিত আইনে আত্মহত্যার চেষ্টাকারীকে সাজার মুখে পড়তে হয়। আর ইসলাম ধর্মে তো একটি বড় গোনাহ। এ ধর্মে বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে আত্মহত্যা করবে সে কবিরা গোনাহ অর্থাৎ বড় গোনাহের কাজ করবে। তাহলে আমাদের বুঝতে বাদ থাকছে না যে কোনোক্রমেই আত্মহত্যা করা যাবে না। নানাভাবে নানা কৌশলে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে আত্মহত্যা করার ভেতর কোনো কৃতিত্ব নেই। এ ধরাধামে বেঁচে থেকে ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিকে এগোতে হবে। মানুষ হয়ে যখন জন্ম নেয়া হয়েছে তখন চলার পথ কোথাও কুসুমাস্তীর্ণ কোথাও কন্টকিত। কন্টকিত পথ চলতে গিয়ে এই যে অবস্থা তাতে জীবনের স্বাদ আছে, বৈচিত্র আছে। এভাবে জীবন না হলে তো সে জীবন মূল্যহীন হয়ে
যায়।
আত্মহত্যা প্রতিরোধে সামাজিকভাবে সকলকে সচেতন হতে হবে। সরকারি ও বেসরকারিসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা উচিত।
স্বাআলো/এস