রংপুরে অস্ত্রসহ তালিকাভুক্ত ৫ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রের পাশাপাশি মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজিব হোসেন সুমন ওরফে মেরিল সুমন, নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে ব্ল্যাক রুবেল, ফিরোজ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, মোতাসিম বিল্লাহ ওরফে লিওন।
তাদের নামে হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ও অস্ত্রসহ একাধিক অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে মহানগর পুলিশের কোতয়ালী ও পরশুরাম থানার অভিযানে তারা গ্রেফতার হয়।
পুলিশের দাবি, গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেকের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি সন্ত্রাসী রাজিব হোসেন সুমন ওরফে মেরিল সুমন ও তার গ্রুপের ১০-১২ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী কোনো এক অজ্ঞাত এলাকায় ডাকাতির জন্য সশস্ত্র একত্রিত হয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আরপিএমপি কোতয়ালী থানার ওসি মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে ১২ জন পুলিশের একটি দল অভিযান শুরু করে। পরে রংপুর নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের কামালকাছনা তাতিপাড়া ইস্টার্ন হাউজিং রংপুর আল ফালাহ জামে মসজিদের পূর্ব পার্শের শ্মশান সংলগ্ন পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল।
এসময় বিল্লাহ (২৭), আব্দুল মমিন (৪২), জুনায়েদ হোসেন অনিক (২৫), সাজ্জাদ হোসনে (২) পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ১৫টি মামলার অধিক মামলার আসামি তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজিব হোসেন সুমন ওরফে মেরিল সুমনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
তাদের নামে হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ও অস্ত্রসহ একাধিক অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় লোহার তৈরি পুরাতন পিস্তল, ১৬ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে লোহার রড, স্টিলের পাইপ, চাপাতি, লাইনলের রশি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও একই দিনে পরশুরাম থানার আওতাধীন এলাকায় ডাকাতির জন্য একটি সাদা প্রাইভেটকার যোগে বের হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরশুরাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ জনের চৌকস পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করে। একপর্যায়ে কোবারু এলাকার মামাভাগিনার মোড়ে তল্লাশি চলাকালে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারের গতিরোধ করা হলে পিছনে থাকা আরো তিনটি মোটরসাইকেলে থাকা আলম মিয়া ও রঞ্জু মিয়াসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জন পালিয়ে যায়। পরে প্রাইভেটকার তল্লাশি করে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী নওশাদ হোসেন রুবেল অরফে ব্ল্যাক রুবেলকে আটক করা হয়।
এসময় একটি পাইপগান, চাইনিজ কুড়াল, স্টিলের ছোড়া, আট পিস ইয়াবাসহ স্মার্টফোন, সুবজ রঙের কার্তূজ উদ্ধার করা হয়। পৃথক এ দুটি অভিযানে গ্রেফতার ব্যক্তিদের নামে কোতোয়ালী ও পরশুরাম থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস