বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক খালিদ হোসেন বলেছেন, পর্যটন শিল্পের জন্য অপার সম্ভাবনাময় জেলা বাগেরহাট। বিশ্ব ঐতিহ্য ষাট গম্বুজ মসজিদ, ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন. খান জাহান আলীর মাজার, অযোধ্যার মটসহ নানা ঐতিহ্য রয়েছে বাগেরহাট জেলায়। সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ি ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলাবন্দর অধ্যুষিত এ জেলায় পর্যটন শিল্প সম্প্রসারণে বেসরকারিভাবে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার সার্বিক সহযোগিতা করবে। তাহলেই বাগেরহাট জেলায় পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে। পর্যটন শিল্প বিকশিত হলে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। বৈদেশিক মুদ্রার বৃদ্ধি পাবে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে রবিবার (১ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাগেরহাট ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পর্যটনে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ শিরোনামে স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের অংশগ্রহণে এ গোল টেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ওয়াশিউল ইসলাম।
বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ গোল টেবিল বৈঠকে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন জেলা পর্যটন ফোরামের সভাপতি ডাঃ মোশারেফ হোসেন, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ফরিদা আক্তার বানু লুচি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভিন, খান জাহান আলী মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির, ট্যুরিস্ট পুলিশের জেলা প্রধান নুরুল ইসলাম, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা মোংলার নুর আলম ও শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে হবে। থাকা ও খাবার জন্য আকর্ষণীয় আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে। দক্ষিনাঞ্চলের বিখ্যাত চিংড়ি মাছের নানা রকমারি খাবার প্রতিটা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে থাকতে হবে। যা পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।
স্বাআলো/এস