ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। একই বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাতে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংসদীয় দলের প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনের সরকারি দলের সভাকক্ষে এক ঘণ্টারও বেশি সময় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জরিপের ভিত্তিতে যোগ্যদের দলীয় মনোনয়ন দেবে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হবে। যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
এতে সংসদ সদস্যদের মধ্যে মোতাহার হোসেন, শামীম ওসমান, নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, কাজী কেরামত আলী, আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন নদভী, রুবিনা আক্তার মিরা, অ্যারোমা দত্ত প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কাউকে জয়ী করার দায়িত্ব নিতে পারবেন না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। এ ভোটে সবাইকে জিতে আসতে হবে। কাউকে জিতে আনার দায়িত্ব আমি নিতে পারবো না। আমি কারও চেহারা দেখে মনোনয়ন দেবো না। দেখেশুনে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের নমিনেশন দেবো। এখানে যারা আছেন সবাই মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। যাকে নমিনেশন দেবো, তার জন্য কাজ করতে হবে। নমিনেশন পান না পান নৌকার বিরোধিতা করা যাবে না।
যারা নৌকার বিরোধিতা করবেন তাদের রাজনীতি চিরতরে শেষ বলেও তিনি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেন।
ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করতে বিএনপি শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে আসতে পারে বলেও আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্তব্য করেন বলে জানান একাধিক সংসদ সদস্য।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় প্রধান। তিনি বলেছেন, মনোনয়ন দেয়া হবে বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে, গ্রহণযোগ্য, জনপ্রিয়তা ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হবে। তবে, সবাইকে প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
স্বাআলো/এসএ