দেশে সব জিনিসের দাম চড়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম স্থির রয়েছে উচ্চমূল্যে। বাস্তবে বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। থাকলে শুধু যে কয়টি পণ্যের দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে তা বাড়তি দরে বিক্রি হতো না। সম্প্রতি সরকার তিনটি পণ্য পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম বেঁধে দেয়। তা কার্যকর হয়নি। এর আগেও ভোজ্যতেল চিনিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিলো। তাও কার্যকর করা হয়নি। স্বভাবত মনে প্রশ্ন জাগে, আসলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে কি ব্যবসায়ীরা?
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সারাদেশে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এসময় ১০৪টি প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
৩ অক্টোবর জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা মহানগরসহ দেশের সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালিত হয়। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ দেশের সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে বাজার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিভাগীয় শহরসহ দেশের সর্বমোট ৫০টি জেলায় একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় অধিদফতরের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
নিত্যপণ্যের দামে অস্থিরতার মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চারটি পণ্যের মূল্য বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম নির্ধারণ করা হয় ৩৫টাকা ও পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। আর ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা। তবে বেঁধে দেয়ার পর পক্ষকালের বেশি পার হলেও বাজারে কার্যকর হয়নি নির্ধারিত দাম। বাজারে আলুর কোনো সঙ্কট নেই, সরবরাহও ভালো। তবে স্বস্তি মিলছে না দামে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের এ অভিযান অব্যাহত থাকুক। আমরা আশা করি এভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিলে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে।