সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে চলছে নিবন্ধনহীন হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার

প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক।

১৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সারাদেশের লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দেন। উক্ত সরকারি নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করেই চলছে বীরগঞ্জে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো।

প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা এবং টেকনোলজিস্ট না থাকায় সেবা নিতে আশা রোগীরা প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি ভুল চিকিৎসার বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ক্লিনিক রয়েছে ১৩টি এর মধ্যে নিবন্ধনকৃত পাঁচটি, বাকি আটটি নিবন্ধন নেই। ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১৩টি এর মধ্যে নিবন্ধন আছে ছয়টি, আর সাতটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন নেই। এর আগে প্রশাসনের অভিযানে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় প্রশাসন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোহাম্মদ মহসীন জানান, আমরা এ সব অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করি। তারপর প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে চালু রাখার অনুমতি দিয়েছি। ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিকদেরকে নিয়ে স্বাস্থ্য প্রশাসন আলোচনা করেন। প্রশাসনের শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি নিয়েই প্রতিষ্ঠান চালু রেখেছেন। এক মাস অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্স করার সময় বেঁধে দেন প্রশাসন। যারা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, নির্দেশনা পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার রাজকুমার বিশ্বাস জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মহসীনসহ বীরগঞ্জের সমস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিকদেরকে নিয়ে এ ব্যাপারে আলোচনা সভা করা হয়েছে। যাদের লাইসেন্স নেই তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয় এবং লাইসেন্স করার প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রেখেছে।

যোগাযোগ করা হলে প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ও নার্স অ্যাসোসিয়েশন বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি জাকারিয়া ডালিম জানান, বেশিরভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সরকারি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। শিগগিরই অনুমোদন পাওয়া যাবে। সবাই যেনো সরকারি নিয়ম মেনে ব্যবসা করে, সে ব্যাপারে মালিকপক্ষ চেষ্টা করছে। সবকিছুর প্রতি বছরের ক্লিয়ারেন্স থাকার প্রয়োজন, পাশাপাশি নবায়ন কাগজের বিষয় থাকে।

স্বাআলো/এস

Share post:

সাবস্ক্রাইব

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

সর্বাধিক পঠিত

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

বন্ধুর ব্যাগ তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেলো আরেক বন্ধুর

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর: ট্রেনে ওঠার সময় পড়ে যাওয়া বন্ধুর...

বৃষ্টির প্রার্থনায় বুক ভাসালেন বীরগঞ্জের মুসল্লিরা

প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ, (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: সূর্যের আলোর প্রখরতা,...

বৃষ্টির প্রার্থনায় সালতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায়

প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ, (দিনাজপুর): সূর্যের আলোর প্রখরতা, তীব্র...

দিনাজপুরে বাঁশের চালে’ রান্না হচ্ছে ভাত-পায়েস

জেলা প্রতিনিধি,দিনাজপুর: ধান নয়, বাঁশের ফুলের বীজ থেকে তৈরি...