ঢাকার ডেমরায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে অছিম পরিবহন নামে একটি বাস। এতে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন বাসে ঘুমিয়ে থাকা নাঈম (২২) নামে চালকের এক সহকারী। এছাড়া রবিউল ইসলাম (২৫) নামে আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) গভীর রাতে দিকে ডেমরা পশ্চিম দেইল্লা পাকা রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে।
নাঈম বরিশালের কোতোয়ালী থানার আলম চৌকিদারের ছেলে। বর্তমানে ডেমরা হাজিনগর এলাকায় থাকতেন।
অন্যদিকে দগ্ধ রবিউলের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে। তিনিও ডেমরায় থাকেন। তার বাবার নাম হযরত আলী।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, গতকাল রাত ৪টার দিকে ডেমরা পশ্চিম দেইল্লা পাকা রাস্তার ওপর থামিয়ে রাখা অছিম পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই সময় বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই বাসের চালকের দুই সহকারী নাঈম ও রবিউল।
ওসি আরো জানান, খবর পেয়ে রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আর দগ্ধ রবিউলকে চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, ভোরবেলা ও গতকাল রাতে দগ্ধ অবস্থায় দুইজন হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে ডেমরা থেকে রবিউল এবং কাকরাইল থেকে সাখাওয়াত দগ্ধ অবস্থায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। মোহাম্মদ রবিউলে শরীরের ১৭ শতাংশ এবং সাখাওয়াতের শরীরের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। রবিউলের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় এবং সাখাওয়াত শঙ্কামুক্ত। এরা দুইজনেই বাসের সহকারী।
উল্লেখ্য, আজ সারাদেশে হরতাল পালন করছে বিএনপি। এর আগে শনিবার নয়াপল্টন থেকে হরতালের ঘোষণা দেয় দলটি।
স্বাআলো/এসএ