যশোরে সন্ত্রাসীদের সাথে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে না যাওয়ায় লেদ মিস্ত্রি রিপন হোসেনকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার মামলায় আটক তানমীন হোসেন ইমন বুধবার (১৮ অক্টোবর) পুলিশকে এমন তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) গভীর রাতে চাঁচড়া ডালমিল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ইমন চাঁচড়া ডালমিল এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডে নিহতের মা রুপবান বেগম বাদী হয়ে আটক ইমনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেছেন।
এই মামলার পলাতক আসামিরা হলো, শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া বাঁশতলার হাসিব, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার দেলোয়ার হোসেন দেলু, পিচ্চি রাজা, মনি সাগর, খড়কির সাকলাইন, জিসান, খড়কির বিল্লাল ও রানা ও ঘোপের আরিফ।
বাদী নিহত রিপনের মা মামলায় জানিয়েছেন, তার ছেলে একজন লেদ মিস্ত্রি। আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাদের সাথে না যাওয়ায় বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে তারা রিপনকে খুন করতে ষড়যন্ত্র ও সুযোগ খুঁজতে থাকে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে রিপন, তার বন্ধু, মুস্তাফিজুর রহমান মুস্তা ও বিপুল কিছু কেনাকাটার জন্য যশোর শহরের মুজিব সড়কের বাজারে যায়। কিন্তু পূর্ব বিরোধের জেরে আসামিরা রিপনের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে ওইদিন ধারালো অস্ত্রসহ ১০ জন সেখানে যায়। রিপনকে দেখেই তারা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ঠেকাতে গেলে মুস্তা ও বিপুলকে তারা আঘাত করে। কিন্তু তাদের ছুরিকাঘাতে রিপনকে মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তার দুই বন্ধুকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা পুরাতন কসবা ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করীম মঙ্গলবার গভীর রাতে চাঁচড়া ডালমিল এলাকা থেকে ইমনকে আটক করে।
আটকের পরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে খড়কি এলাকার ডিকু বাহিনীর সাথে না যাওয়ায় এই খুনের পরিকল্পনা করা হয় বলে জানা গেছে। আটক ইমন এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
জবানবন্দি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ।
স্বাআলো/এস