রংপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার কনিষ্ঠপুত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রংপুরে নানা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের সাহিত্য মঞ্চে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন, বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি পঙ্কজ রায়, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সায়ফুজ্জামান ফারুকী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান মঞ্জু, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি প্রদর্শন করা হয়।
সবশেষে দিবসটি ঘিরে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এছাড়া দিবসটি ঘিরে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন এবং হাসপাতাল, সরকারি শিশু পরিবার, এতিমখানা, কারাগার, বৃদ্ধাশ্রম, শিশু সদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগের পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের জন্ম দিন উদযাপন করা হয়।
এদিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন করা হয়। সকালে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শেখ রাসেল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর শেখ রাসেল চত্ত্বরে স্থপিত শেখ রাসেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ।
পরে শেখ রাসেলের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে ক্যাম্পাসে একটি বৃক্ষরোপণ করেন উপাচার্য। এরপর ক্যাফেটেরিয়ায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এছাড়া জোহর নামাজের পর কেন্দ্রিয় মসজিদে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
স্বাআলো/এসএস