রংপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার বৈকন্ঠপুরে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বৃদ্ধ ও নারী-শিশুসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় মিন্টু, রফিক ও দোলোয়ার গ্যাংরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী ফরিদুল মিয়ার পরিবার আদালতে মামলা করেন। এরপরেই আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেয়াসহ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। এতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এঘটনার পর থেকেই ভুক্তভোগী ফরিদুল মিয়া ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যেকোনো সময় আবারো তাদের উপর হামলা হতে পারে বলে ধারণা করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার তদন্ত করাসহ আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
কাউনিয়ায় মাদরাসায় পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন
এজন্য তারা রংপুরের পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভুক্তভোগী, স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর এলাকার বৈকন্ঠপুর গ্রামের ফরিদুল মিয়ার সাথে একই এলাকার মিন্টু মিয়া, দোলোয়ার হোসেন, রুবেল মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। তারা সকলেই একই গ্রামের বাসিন্দা। তাদের সাথে পূর্ব হইতে জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ও শত্রুতা চলে আসছিলো। পূর্বশত্রুতার কারণে আমার ও আমার পরিবারে মারাত্মক ক্ষতি করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ অক্টোবর মিন্টু ও দোলোয়ার গ্যাংরা পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটাসহ দেশী অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। আমার পিতা, মাতা, স্ত্রী ও কন্যা বাঁধা দিলে তারা তাদের মারধর করে জখম করেন। এঘটনার পরেই আমার স্ত্রী উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাদী হয়ে মিন্টু মিয়া, দোলোয়ার হোসেন, রুবেল মিয়া, রফিক মিয়া, জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। যার সিআর নং ১৭১/২৩। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত মামলা করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আমার বাড়ি হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে মিন্টু ও দোলোয়ার, রফিক গ্যাংরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নিভায়। এতে আমার পরিবারসহ রক্ষা পেলেও কয়েকটি ঘর পুড়ে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সড়কের পাশে অস্বাস্থ্যকর খাবারের দোকান, ঝুঁকির আশঙ্কায় মানুষ
বর্তমানে ফরিদুল মিয়াসহ তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় কাটছে তাদের দিন। পুরো পরিবারে হতাশা নেমে এসেছে। তারা আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
স্বাআলো/এস