নোয়াখালীর চাটখিলে এক শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ এ হত্যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
নোয়াখালীতে নিহত পেহা আক্তার (৭) নামে এক শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
পেহা আক্তার চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে।
সে স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিলো।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালের দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। রবিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর পাড় থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মামা ফাহাদ বলেন, পেহা রবিবার দুপুরের দিকে তার বাবাকে বাড়িতে না দেখে খোঁজাখুজি করেন। ওই সময় তাদের বাড়ির পাশে একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন চলছিলো। পেহা সেখানে গিয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করে। পরবর্তীতে দুপুর ২টার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো। এরপর তার বাবা বাড়িতে এসে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে এক ব্যক্তি জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পেহার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে এটাকে হত্যা মনে হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। সোমবার সকালের দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ভিকটিমের মাথার এক পাশে ফোলা জখমের চিহৃ রয়েছে। চোখের ডান পাশে এবং কান ও চোখের মাঝামাঝি জায়গায় গভীর কাটা জখম আছে। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
স্বাআলো/এস