ঢাকা অফিস: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্যরা জনপ্রতি ১০-১৫ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে।
একটি চক্র দ্রুত প্রশ্নপত্রের সমাধান করে কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় যুক্তদের প্রচেষ্টায় তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতিতে জড়িত চক্রের ১৩ সদস্য, পরীক্ষার্থীসহ ১২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিন শিক্ষক নিয়োগের প্রথম পর্বে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ পর্বের তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রথম ধাপের রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে গাইবান্ধায় র্যাবের অভিযানে ধরা পড়েছেন চক্রের ৩৭ জন। পাঁচজন কেন্দ্রের বাইরে থেকে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। তাদের মধ্যে রেলওয়ের কর্মী, স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষক রয়েছেন। আর রংপুরে ১১ পরীক্ষার্থীসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের তিনজন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পাঁচজন ছাত্রলীগ নেতা। এ ছাড়া বহিষ্কার করা হয়েছে ৮৩ জনকে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, একটি অসাধু চক্র মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অনৈতিক উপায়ে পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো।
এই পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামে ৭৬ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু মোবাইল ফোন ও ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
স্বাআলো/এস