ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় খুলনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার। এসব সাইক্লোন শেল্টারে তিন লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবককেও।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে অনলাইনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ লোকজন সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। এসব সাইক্লোন শেল্টারে মোট তিন লাখ ১৫ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। পাশাপাশি ৫৬০টি গবাদি পশু রাখা যাবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’, রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার নির্দেশ
তিনি জানান, কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় পাঁচ হাজার ২৮০ স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’: পায়রা ও চট্টগ্রামে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত
শুকনো খাবার ও ওষুধ প্রস্তত রাখা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রস্তত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’, সারাদেশে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, বর্তমানে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপথ আছে তা পরিবর্তন না হলে আপাতত খুলনা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। তবে ঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাস, ভারী বৃষ্টি ও নদীতে পানির উচ্চতা বাড়তে পারে।
স্বাআলো/এসএস