লোভনীয় চাকরির কথা বলে লিবিয়ায় পাঠিয়ে মাফিয়া দলের সহযোগিতায় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া ও ভুক্তভোগীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তিন আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
বিদেশে মাফিয়াদের হাতে আটকে পড়া আতাউর রহমানকে (৫৫) উদ্ধার ও মানবপাচারকারী দালাল চক্রের হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী পরিবার।
তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর পৌর এলাকার রাজনগর পাড়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় বাজারের সেলুন ব্যবসায়ী ছিলেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) আতাউর রহমানের স্ত্রী জোসনা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। সেখানে আমার স্বামীকে কোনো কাজ তো দেয়নি। অন্যদিকে সেখানে অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে আরো সাড়ে চার লাখ টাকা দাবি করছে। এর আগে কৌশলে তারা আমাদের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রামগঞ্জে এভাবে প্রতারকরা মানুষের সাথে প্রতারণা করছে তারা মানুষকে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে তাদের সর্বনাশ করে চলেছে একে একে। এমন কোনো গ্রাম নেই যে সে গ্রামে এভাবে দু-দশজন প্রতারণার শিকার হয়নি।
বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়ে কড়াকড়ি ব্যবস্থা আরোপ হচ্ছে। প্রতারকদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। যা জাতির জন্য বড়ই ক্ষতিকর হবে।
অভিযোগ শোনা যায়, এসব প্রতারকদের নাকি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। যতো ঝুঁকি-ঝামেলা তারাই হুমকি দেখিয়ে এমন কি পেশিশক্তি প্রয়োগে করে মোকাবেলা করে। ফলে অনেকে তাদের সর্বস্ব শেষ করে প্রতারকদের হাতে তুলে দিয়ে পথের ফকির হলেও কিছুই করতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ছাড়া এ সব দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় নেই।
মাদক, সন্ত্রাস প্রভৃতি শক্তহাতে দমন করে সরকার যে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এই প্রতারকদের দমনেও সেই রূপ কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। আমরা মনে করি এমন একটা পদক্ষেপ নিলে সাধারণ মানুষ অন্তত ঘরের টাকা পরের হাতে তুলে দিয়ে নিঃস্ব হবার হতে থেকে রেহাই পাবে।
স্বাআলো/এস