সীমান্তে মর্টার ও বোমার শব্দ, আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে থামেনি সংঘর্ষ ।

গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে সারাদিন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে রাখাইনে বোমা বিস্ফোরণ ও মর্টার শেলের ভারী শব্দ শোনা যায়নি। এর আগের দিন মঙ্গলবার টেকনাফের হ্নীলা, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিন সীমান্ত এলাকা থেকে রাখাইনের সংঘর্ষে মর্টার ও বোমার বিকট শব্দ শোনা যায়। গতকাল এ ধরনের বিকট শব্দে মর্টার ও বোমা বিস্ফোরণ না হলেও সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা সারা দিন থেমে থেমে গুলির শব্দ শুনেছেন ।

শাহপরীর দ্বীপ উত্তরপাড়ার বাসিন্দা জাহেদা খাতুন বলেন, ‘বুধবার ফজরের নামাজের পর থেকে মিয়ানমারে গুলির শব্দ শুনেছি। রাত ৮টা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। তবে এসব শব্দ আগের দিনের মতো এত ভারী ছিলো না।’

সাবরাং লেজিরপাড়ার বাসিন্দা ফরিদ আহমদ বলেন, ‘রাখাইনে গোলাগুলি বন্ধ হয়নি এখনো। সারা দিন গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। শব্দের তীব্রতা কিছুটা কমেছে, ভয় পায়ার মতো না।’

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, ‘আমার এলাকার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে মিয়ানমারের রাখাইনের গোলাগুলির বিকট শব্দ কমেছে। তবে দিনের বিভিন্ন সময় ওপার থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।

সীমান্ত এলাকা ও নাফ নদে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে কয়েক দিন ধরে রাখাইনে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে না। ভয় ও আতঙ্ক কাটিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন নিজেদের কাজকর্মে মনোযোগ দিচ্ছে। মাসখানেক আগেও মর্টার ও বোমার শব্দে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের লোকজন ঘুমাতে পারেনি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘সীমান্ত এখন শান্ত হলেও পরিস্থিতি কখন পরিবর্তন হয় তা বলা যায় না। তার পরও সীমান্তের লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’

এর আগে গত ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্তের ৪৫ ও ৪৬ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে ১৭৭ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। তাঁদের এখনো বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার পর তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বাসিন্দারা বলেন, ওপারে রাখাইন রাজ্য এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। যেকোনো সময় পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। সীমান্ত অতিক্রম করে আরো বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের লোকজনও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

স্বাআলো/এসআর

আপনার জন্য প্রস্তাবিত
Related

বাগেরহাটে ট্রাক চাপায় প্রান গেল ভ্যানচালকসহ ৩ যাত্রীর

আজাদুল হক, বাগেরহাট: জেলার রামপাল উপজেলার খুলনা -মোংলা মহাসড়কে...

বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা অফিস: ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে...

যশোরসহ ২৬ জেলার ওপর দিয়ে তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে

ঢাকা অফিস: যশোরসহ দেশের ২৬টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে...

চলমান তাপপ্রবাহ ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে

ঢাকা অফিস: অসহনীয় গরমে পুড়ছে দেশ। কখনো তীব্র আবার...