জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: জেলার আলমডাঙ্গা পৌর শহরে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। মাঝে উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেলেও সম্প্রতি আবার তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
এদের মূল আড্ডাখানা শহরের বিভিন্ন চায়ের দোকানে। এসব তরুণরা দলবদ্ধ হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো না কোনো বড় ভাইয়ের অধীনে তারা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। এসকল তরুণরা চায়ের দোকান গুলোতে তাদের সহকর্মীদের সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের ইভটিজিং করে থাকে। পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধ করলে, পাল্টা ওই সকল পরিবার কিশোর গ্যাংয়ের হুমকির শিকার হয়। এছাড়া নারী সংক্রান্ত জের ধরে মারামারি ঘটনা শহরজুড়ে অহরহ চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় নাসিফউজ্জামান নামের এক তরুণ গুরুত্বর আহত হয়েছে। অভিযুক্ত কিশোর বাপ্পি মিয়া (১৯) বেলগাছি পূর্বপাড়ার আশরাফুল আলমের ছেলে। আহত কিশোরের মা নাজিরা আক্তার বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বাসিন্দা নাজিরা আক্তারের ছেলে নাসিফউজ্জামান সে ঢাকার একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। রমজানের ছুটিতে গত বুধবার রাতে বাড়িতে আসে। দীর্ঘদিন যাবৎ পৌর এলাকার থানাপাড়ার শাহাবুল হকের মেয়ের সাথে নাফিসউজ্জামানের প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমন খবর জানতে পারলে ওই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তার পরিবার।
ইতোমধ্যে বাপ্পি মিয়ার সাথে ওই কিশোরী প্রেমসম্পর্ক গড়ে তোলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাফিসউজ্জামান আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজে গেলে বাপ্পি তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করায় বাপ্পি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে সে গুরুত্বর আহত হলে, স্থানীয়রা উদ্ধার করে হারদি হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় নাফিসউজ্জামানের মা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এসআর