সম্পাদকীয়: চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত কিশোর গ্যাং। এসব অপরাধীদের গোড়া থেকে ধরার নির্দেশ আছে প্রধানমন্ত্রী।
সারা দেশের ‘কিশোর গ্যাং’ নিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন তৈরি করেছিলো ২০২২ সালের শেষে। তাতে বলা হয়, সারা দেশে অন্তত ১৭৩টি কিশোর গ্যাং রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে এদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৭৮০টি। এসব মামলায় আসামি প্রায় ৯০০ । দেশে কিশোর গ্যাংগুলো এক দিনে গড়ে ওঠেনি। শহরে মানুষের নিরাপদ বসবাসের ক্ষেত্রে বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক শুরু হয়েছে। এতে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ নির্দেশ যথাযথভাবে কার্যকর হোক দেশবাসী এ কামনা করেন। রাজধানীর ধানমণ্ডি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচটি কিশোর গ্যাংয়ের ২৫ সদস্যকে গেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে চাপাতি, ছুরি, চাকু, চায়নিজ কুড়ালসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তারা রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, আদাবর, ঢাকা উদ্যান ও ধানামণ্ডি এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং পথচারীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিতো। ২৩ মার্চ রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব-২ এর পৃথক দল।
দেশের শহরে কিশোর অপরাধ ও গ্যাং-কালচার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা শুধু অপরাধই করে না, আধিপত্য বজায় রাখতে পরস্পরের সাথে সংঘর্ষেও জড়ায়। সমাজবিজ্ঞানী ও পুলিশের ভাষ্যমতে, কিশোরদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দে প্রথম বিরোধ ও জোট বাঁধার প্রবণতা তৈরি হয়। সেখান থেকে গড়ে ওঠে গ্যাং।
সারা দেশে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায়, জমি দখলে সহায়তা, ইন্টারনেট সংযোগ, ক্যাবল টিভি (ডিশ) ব্যবসায় ও ময়লা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ, উত্ত্যক্ত করা, যৌন হয়রানি করা, হামলা, মারধরসহ নানা অপরাধে জড়িত।
স্বাআলো/এসআর