সম্পাদকীয়: পিরোজপুরে যাত্রীবাহী বাস চাপায় অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সাত যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কের ঝাউতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একটি সড়ক দুর্ঘটনায় এক সাথে এতো মানুষ মারা যাবে তা মেনে নেয়া যায় না। দুর্ঘটনায় যারা স্বজন হারিয়েছেন তারাই বোঝেন ব্যাথা কতটুকু। এই ব্যথায় যেনো কেউ ব্যথিত হয় না। যদি স্থানীয় জনতা উত্তেজনা বশতো ওই ঘাতক বাসটি ভাঙচুর করে বসতো তাহলে পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতো। ভাঙচুরের অপরাধে পুলিশ মামলা করতো এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষের নামে। মানুষ খুন করেও পরিবহন শ্রমিকরা শেষমেষ পার পেয়ে যেতো এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে হচ্ছেও তাই।
তারা জোর গলায় বলবে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য একা শ্রমিকরা দায়ী নয়। এ জন্য পথচারীরাও দায়ী। এ ক্ষেত্রে আমরা বলতে চাই পরিবহন শ্রমিকদের কথা ঠিক হলে সারা বিশ্বের অন্যন্য দেশেও বাংলাদেশের মতো সড়ক দুর্ঘটনা হতো। কিন্তু সেটা কি হয়?
ওই সব দেশের শ্রমিকদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা আছে। আমাদের দেশে এ সব কিছুই নেই। এ কারণে ফ্রিস্টাইলে ঘটে চলেছে সব কিছু। এক একটি দুর্ঘটনা ঘটে আর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় অপরাধী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু সে ব্যবস্থা আর জনসাধারণ চোখে দেখে না। আমরা জানিনে আর কতো প্রাণ এভাবে গেলে পরিবহন শ্রমিকরা নিয়ন্ত্রণে আসবে। বন্ধ হবে তাদের বেপরোয়া ভাব।
স্বাআলো/এসআর